আট মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া। এসব অঞ্চল ছাড়লেই এই যুদ্ধ বন্ধ হবে এমটাই জানিয়েছে ইউক্রেন। খবর আল-জাজিরার।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের প্রধান ওলেক্সি দানিলভের বরাতে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন। তবে আলোচনার আগেই দখলকৃত অঞ্চল ছাড়তে হবে রুশ বাহিনীকে।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় দানিলভ বলেছেন, ‘আলোচনায় বসার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রধান শর্ত হল আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করা। আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা বন্ধ করার গ্যারান্টি দিতে হবে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে অবশ্যই আকাশে, স্থলে এবং সমুদ্রে উৎক্ষেপণের আগে ধ্বংস করতে হবে। ’
এর আগে গত সোমবারের রাতের ভাষণে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই সময় জেলেনস্কি রুশ হামলার জন্য ক্ষতিপূরণ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান। ঠিক এরপরেই দানিলভের মন্তব্য এলো।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিয়েভকে আলোচনায় বসার জন্য সংকেত দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
আল-জাজিরা বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে নিজেদের ভূখণ্ড দখলে সমর্থনের পাশাপাশি আলোচনার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। কিয়েভ আলোচনা থেকে বিমুখ হলে আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাবে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা।
গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় জেলেনস্কি বলেছিলেন, পুতিন ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
সম্প্রতি সময়ে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে সক্ষম হচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করছে রুশ বাহিনী। এতে করে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় জনগণ।
এ দিতে গত সোমবার মস্কোর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, তারারা আলোচনার জন্য রাজি। তবে কিয়েভ সবসময় আলোচনার বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করছে। আলোচনা নিয়ে রুশ কর্মকর্তারা বারবার বলছেন, সংযুক্ত অঞ্চল নিয়ে আলোচনা করবে না তারা।